দুঃসাহসী নারীদের গল্প


প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২০ , ১০:০৬ এএম
দুঃসাহসী নারীদের গল্প

লেডি হেস্টার স্ট্যানহোপ


ব্রিটিশ এই অভিযাত্রী ছিলেন বিশিষ্ট সামাজিক মর্যাদার অধিকারী। তাঁর জন্ম ১৭৭৬ সালে, একটি অভিজাত রাজনৈতিক পরিবারে। তৎকালীন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইলিয়াম পিট ছিলেন লেডি হেস্টার স্ট্যানহোপের আত্মীয়। ওই সময়ের নারী অভিযাত্রীদের মধ্যে লেডি হেস্টার ছিলেন অত্যন্ত বিখ্যাত। ৩৩ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাজ্য ছেড়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন। প্রত্নতাত্ত্বিক হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন এলাকায় পরিভ্রমণ করেছিলেন তিনি। ঘুরেছিলেন গ্রিস, তুরস্ক, ফ্রান্স ও জার্মানিতেও। মিসর যাওয়ার পথে স্থানীয় পুরুষের পোশাক পরেছিলেন তিনি, সেভাবেই কাটিয়েছিলেন পুরো পথ। তাঁর সঙ্গে থাকত তরবারি, চড়তেন আরব ঘোড়ায়।

ইসরায়েল, লেবানন ও সিরিয়ায়ও গিয়েছিলেন লেডি হেস্টার। প্রথম ইউরোপীয় নারী হিসেবে তিনি সিরীয় মরুভূমি অতিক্রম করেছিলেন। বলা হয়ে থাকে, ওই অঞ্চলে আধুনিক প্রত্নতাত্ত্বিক চর্চার পথিকৃৎ ছিলেন হেস্টার স্ট্যানহোপ। পরে নিজের ভ্রমণের এসব ঘটনা তিনি লিপিবদ্ধ করে রেখেছিলেন। কথিত আছে, বেদুইনরা লেডি হেস্টারকে ‘মরুভূমির রানি’ উপাধিতে ভূষিত করেছিল।

দ্য গার্ডিয়ান ও অ্যাডভেঞ্চার জার্নাল ডট কম অবলম্বনে